ঢাকা,মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪

চকরিয়ায় আবারও হত্যার আতঙ্কে উত্তর ফুলছড়ি!

নিজস্ব প্রতিনিধি, চকরিয়া ::
চকরিয়ায় মসজিদে নামাজ’রত মুসল্লিকে হত্যাকান্ডের পর জড়িত চক্রটি আবারো বেপরোয়া হয়ে উঠছে। এবার হত্যার উদ্দেশ্যে ঘটেছে কোপাকুপির ঘটনা। গুরুতর আহত হয়ে প্রাণে বেঁচে যাওয়ায় ফের মৃত্যুর হুমকি দিচ্ছে। এসব অভিযোগ খুটাখালী ইউনিয়নের উত্তর ফুলছড়ি এলাকায়। রক্তক্ষয়ী হত্যাকান্ডের আশঙ্কায় এলাকাজুড়ে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
জানা গেছে, উত্তর ফুলছড়ি এলাকায় গত রবিবার সকালে তুচ্ছ বিষয়ের শালিস বৈঠক বসান এলাকার সর্দার। সেখানে একপর্যায়ে দা, হাতুড়ি, বেলচা নিয়ে হামলা চালায় একটি পক্ষ। হামলায় জড়িতদের মধ্যে রয়েছে বিগত তের বছর আগে মসজিদে নামাজ’রত মুসল্লিকে হত্যাকারী পক্ষের লোকজন।
আহতরা জানায়, ২০০৮ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে এলাকার মসজিদে তুচ্ছ ঘটনায় আবদুল মজিদ নামের এক ব্যক্তিকে খুন করে। তখনকার ঘটনায় জড়িতরা আবারও হত্যাকান্ড ঘটাতে এই হামলাটি চালিয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্তরা স্থানীয় আবদুর রহমানের ছেলে হান্নান মিয়া, তার ভাই মোহাম্মদ আলী, রমজান আলী, আজমত আলী ও মোস্তাক আহমদ, আজমত আলীর ছেলে নোমান, মৃত আবুল শরিফের ছেলে ফরিদুল আলম, বাক্কুম পাড়ার ছৈয়দ আলম, মধ্যম নাফিতখালীর মোহাম্মদ হোছাইন।
মসজিদের ভেতর সেই হত্যাকারীদের কোপাঘাতে মারাত্মক জখম হয়েছে বলে দাবি করেন আহত মৃত হাবিবুল্লাহর ছেলে ছালামত উল্লাহ বাবুল। হামলায় আরো আহত হয়েছে যুবলীগ নেতা হেফাজত উল্লাহসহ আরো তিনজন। লোকজন রক্তাক্ত অবস্থায় আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
এ বিষয়ে সালিশকার উত্তর ফুলছড়ি এলাকার সর্দার মুরব্বি নুরুল ইসলাম হেলালী বলেন, এলাকায় সামন্য বিষয় নিয়ে দু’পক্ষের বিরোধ হয়। উভয় পক্ষের সম্মতি পেয়ে বিরোধ নিষ্পত্তি করতে চেষ্টা করেন তিনি। কিন্তু পেশির জোরে লোহার তৈরি এসব অস্ত্র দিয়ে হামলা চালানো অত্যন্ত দুঃখজনক। বিষয়টি সালিশকারকে অবমাননা ছাড়া কিছুই নেয় বলে জানান তিনি।
স্থানীয় ইউপি মেম্বার ওয়াসিম আকরাম জানান, কথা কাটাকাটির বিরোধ নিষ্পত্তি করতে এলাকার বয়োজ্যেষ্ঠ মুরব্বি দুপক্ষের বিরোধ মিটমাটের চেষ্টা করেন। কিন্তু বৈঠকে একজন বয়োজ্যেষ্ঠ মুরব্বির সামনে এমন একটি হামলার ঘটনা কখনো কাম্য হতে পারেনা।

পাঠকের মতামত: